ভারতীয় উপমহাদেশে ইউরোপীয়দের আগমন

জলপথ আবিষ্কার

  • মধ্যযুগে আরবদের সঙ্গে ইতালির বিভিন্ন শহরের প্রচুর বাণিজ্যিক লেন-দেন হয়|
  • আরব বণিকরা ভারত, সিংহল ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে মনি-মুক্তা, রেশম ও নানা সুগন্ধি মশলা সংগ্রহ করে ভূমধ্যসাগরের বন্দরগুলিতে নিয়ে আসত|
  • সেখান থেকে ইতালির বণিকরা সেই পণ্যগুলি ইউরোপের বাজারে চালান দিয়ে প্রচুর লাভ করতো|
  • স্বর্ণ, হীরা-মানিক, দারুচিনি, এলাচ ইত্যাদি ভোগ্যপণ্য প্রাচ্য দেশ থেকে ইউরোপ যেত এবং বাংলা থেকে যেত জগদ্বিখ্যাত মসলিন।
  • ১৪৫৩ খ্রি. তুর্কিদের হাতে কনস্টান্টিনোপলের অর্থাৎ পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে প্রাচ্য দেশগুলিতে যাতায়াতের একমাত্র স্থলপথটি ইউরোপীয়দের কাছে বন্ধ হয়ে যায়|
  • তখন প্রাচ্যের দেশগুলো একটি বিকল্প বাণিজ্য পথের সন্ধান করেছিল।
  • ভারতে আসার প্রথম প্রচেষ্টা চালায় পর্তুগাল ও স্পেনের নাবিকরা। এই প্রসঙ্গে পর্তুগালের যুবরাজ হেনরির(1394-1460) নাম সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য| তার চেষ্টায় ও উৎসাহে বিভিন্ন ধরনের নৌ-যন্ত্রপাতি ও দিক নির্ণয় করার যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়।
  • কলম্বাস ভারতে আসার জন্যে যাত্রা করেছিলেন কিন্তু তিনি গিয়ে পৌঁছেন আমেরিকা মহাদেশে।
  • নাবিক হেনরির মৃত্যুর প্রায় 25 বছর পর বার্থোলোমিউ দিয়াজ নামে অপর এক পর্তুগিজ নাবিক 1486 সালে বিষুবরেখা অতিক্রম করে আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল দিয়ে ভারতবর্ষে দিকে অগ্রসর হতে সচেষ্ট হন।
  • আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তে এক প্রবল ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয় এবং এই কারণে তিনি আফ্রিকার শেষ প্রান্তের নামকরণ করেন "ঝড়ের অন্তরীপ"(cape of storm), কিন্তু পর্তুগালের রাজা দ্বিতীয় জনের মনে এই বিশ্বাস জন্মায় যে, আফ্রিকা দক্ষিণ উপকূলের পথ বেয়ে প্রাচ্যের দেশগুলোতে পৌঁছানো সম্ভব| এই কারণে তিনি এই অন্তরীপের নামকরণ করেন "উত্তমাশা অন্তরীপ"(cape of God Hope)।
  • প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে ইউরোপ থেকে সরাসরি ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কারের কর্তৃত্ব হলো অপর এক পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামা| তিনি 1497 সালের পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত কালিকট বন্দরে এসে উপস্থিত হন।
  • 1498 সালে তিনি কালিকট বন্দরে এসে পৌঁছান। তিন মাস থাকার পর 1499 সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন| তিনি ভারত থেকে জাহাজ ভর্তি মশলা ও অন্যান্য অনেক মূল্যবান দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে যান।
  • 1502 সালে ভাস্কো দা গামা দ্বিতীয়বার কালিকট বন্দরে আসেন| তিনি কোচিন ও ক্যানন নামক দুটি জায়গায় পর্তুগিজ বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করেন|
  • 1500 সালে পর্তুগালের রাজা প্রথম ম্যানুয়েলের নির্দেশে পেদ্রো আলভারেজ কাব্রাল নামে এক পর্তুগিজ নাবিক লিসবন থেকে 13 টি জাহাজ নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন, সঙ্গে তিনি 1200 পর্তুগিজ সৈন্য ও প্রচুর বাণিজ্য সামগ্রিক নিয়েছিলেন।
  • কিন্তু ভারতে আসতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে প্রবল বায়ুর প্রভাবে মুখে পড়তে তিনি সোজা পশ্চিম আমেরিকার মূল ভূখন্ডে বাজিলে গিয়ে উপস্থিত হন।
  • এরপর কাব্রাল পুনরায় যাত্রা শুরু করে উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতে উপস্থিত হন। তিনি কালিকট ও কোচিনে দুটি পর্তুগিজ বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করেন। কিছুদিন কোচিনে থাকার পর জাহাজ ভর্তি মশলা নিয়ে স্বদেশে ফিরে যান।

পর্তুগিজ

  • পর্তুগালের লোকাদের পর্তুগিজ বলে।
  • ১৫১০ সালে সর্বপপ্রথম পর্তুগীজরা ভারতবর্ষে আগমন করেন।
  • উপমহাদেশে ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরাই ১৫১৪ সালে উড়িষ্যার অন্তর্গত পিপলি নামক স্থানে সর্বপ্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করেন।
  • ভারতের প্রথম পর্তুগীজ ভাইসরয় ছিলেন ফ্রান্সিককো ডি আলমিডা।
  • ভারতে পর্তুগিজ উপনিবেশগুলোর প্রথম গভর্নর ছিলেন আলবুকার্ক।
  • তিনি কোচিনে একটি দূর্গ নির্মাণ করেন। এই দূর্গটি ভারতে প্রথম ইউরোপীয় দূর্গ।
  • বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে প্রথম এসেছিল পর্তুগিজরা ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে।
  • ১৫৩৭ সালে তারা বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে চট্টগ্রাম ও সপ্তগ্রামে। সুলতান মাহমুদ শাহ তাদের এ অনুমতি দেন।
  • বাংলা থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করেন- কাসিম খান জয়িনী।
  • ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম দখল করে সেখান থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করেন- শায়েস্তা খান।
  • শেরশাহকে প্রতিরোধ করার জন্য সুলতান মাহমুদ শাহ পর্তুগিজদের সাহায্যপ্রার্থী হন। মাহমুদ শাহের পক্ষে পর্তুগিজরা শেরশাহের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। উক্ত লড়াইয়ের পর্তুগিজরা পরাজিত হন।
  • পর্তুগিজগণ বাংলাদেশে ফিরিঙ্গি নামে পরিচিত। পর্তুগিজ জলদস্যুদের বলা হয় ‘হার্মাদ’, শব্দটি পর্তুগীজ ভাষা থেকে আগত।
  • তারা কালিকট, গোয়া, দমন, দিউ, হুগলী, চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে বাণিজ্যকুঠি ও উপনিবেশ স্থাপন করে।
  • নিপীড়নমুলক কার্যকলাপের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সমর্থন না পাওয়ায় এবং অন্যান্য ইউরোপীয় বণিকদের সাথে বানিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ভারতবর্ষে তাদের ব্যবসায়িক অস্তিত্ব ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যায়।
  • ভারতের সর্বশেষ পর্তুগিজ ভাইসরয় ফ্রান্সিসকো অলমিতা।

ওলন্দাজ

  • হল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডের অধিবাসীরা পরিচিত ডাচ বা ওলন্দাজ নামে।
  • ১৬০২ সালে তারা’ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ গঠন করে।
  • তারা কালিকট, নাগাপট্টম, বাংলার চুঁচুড়া ও বাঁকুড়া, বালাসোর, কাশিমবাজার এবং বরানগরে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে।
  • রাজশাহী বড়কুঠি নির্মাণ করেন ডাচরা।
  • প্রথমে পর্তুগিজ এবং পরে ইংরেজগণ ছিল তাদের প্রতিদ্বন্ধি।
  • কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ শুরু হওয়ায় ১৭৫৯ সালে বিদারার যুদ্ধে ডাচরা ইংরেজদের কাছে শোচনীয়ভাবে হয়।
  • ইংরেজদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে তারা ১৮০৫ সালে বাণিজ্য কেন্দ্র গুটিয়ে ভারতবর্ষ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

দিনেমার

  • ডেনমার্কের লোকদের বলা হয় ডেনিশ বা দিনেমার।
  • দিনেমারগণ ১৬১৬ খ্রিস্টাব্দে ‘ডেনিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠন করে।
  • কোম্পানি ১৬২০ সালে দক্ষিণ ভারতের তাঞ্জোর জেলায় ত্রিবাঙ্কুর এবং ১৬৭৬ সালে বাংলার শ্রীরামপুরে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে।
  • অন্যান্য ইউরোপীয়দের সাথে বাণিজ্যে সুবিধা না করতে পারায় তারা ১৮৪৫ সালে ইংরেজদের নিকট কুঠি বিক্রয় করে উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যায়।

ইংরেজ

  • ১৫৯৯ খ্রি. ইংরেজ বণিকরা প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্য করার জন্যে গঠন করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ১৬০০ খ্রি. রাণী এলিজাবেথ এই কোম্পানিকে রাজকীয় সনদ বা চার্টার ১৫ বছর মেয়াদী একচেটিয়া বাণিজ্য করার জন্য প্রদান করেন এবং তিনি স্বয়ং এই কোম্পানির একজন অংশীদার ছিলেন।
  • ক্যাপ্টেন হকিন্স ১৬০৮ সালে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের সুপারিশপত্র নিয়ে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীরের দরবারে আসেন। ক্যাপ্টেন হকিন্সের আবেদনক্রমে সম্রাট জাহাঙ্গীর সুরাটে বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি দেন।
  • ১৬১২ সালে তারা প্রথমে সুরাটে কুঠি নির্মাণ করে এবং ১৬১৬ সালে তারা মসলিপট্টমে বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপন করে।
  • ১৬১৫ সালে প্রথম জেমসের দূত হয়ে জাহাঙ্গীরের দরবারে আসেন স্যার টমাস রো। সম্রাটের কাছ থেকে ইংরেজদের ভারতবর্ষে বাণিজ্য করার সুবিধা আদায় করে ১৬১৯ সালে ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন।
  • সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬৩৩ সালে বাংলার হরিহরপুরে প্রথম বাণিজ্য কুঠির নির্মাণ করেন।
  • দীর্ঘকাল পরে ১৬৫১ সালে হুগলী শহরে তারা দ্বিতীয় কুঠি নির্মাণ করেন।
  • ১৬৫০ সালে ইংরেজ বাণিজ্যপোত হুগলী বন্দরে প্রবেশ করে। ১৬৬১ সালে ইংরেজরা বাংলার সুবাদারের অনুমতি নিয়ে হুগলীতে কুঠি নির্মাণ করে।
  • যেসব স্থানে নতুন কুঠির স্থাপন করা হয়, তাদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে কাসিম বাজার (১৬৫৮ সালে), পাটনা (১৬৫৮ সালে), ঢাকা (১৬৬৮ সালে)।
  • ১৬৬৮ সালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস পর্তুগিজ রাজকণ্যা ক্যাথারিনের সাথে বিয়ের যৌতুক হিসেবে লাভ করেন বোম্বাই শহর। অর্থাভাবে চার্লস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পঞ্চাশ হাজার পাইন্ডের বিনিময়ে শহরটি বিক্রি করে দেন এবং এই শহরটি কোম্পানির প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়।
  • জব চার্নক নামে আরেক ইংরেজ ১৬৯০ সালে ১২০০ টাকার বিনিময়ে কোলকাতা, সতানটি ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রামের জামিদারিস্বত্ব লাভ করেন। ভাগীরথী নদীর তীরের এই তিনটি গ্রামকে কেন্দ্র করেই পরে কোলকাতা নগরীর জন্ম হয়।
  • ইংরেজরা এখানে একটি দুর্গ নির্মাণ করে এবং ১৬৯৮ সালে তাদের রাজা উইলিয়ামের নামানুসারে এর নাম রাখে ‘ফোর্ট উইলিয়াম’ দুর্গ।
  • ১৭১৭ সালে সম্রাট ফররুখ শিয়ার মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে মুঘল স্রামাজ্যে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অনুমতি দেয়।
  • কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্রাট ফররুখশিয়ারের নিকট থেকে বাণিজ্যিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ফরমান লাভ (১৭১৭ সাল) একই সাথে কোম্পানি নিজস্ব মুদ্রা প্রচলনের অধিকারও পায়। সম্রাটের এই ফরমানকে ইংরেজ ঐতিহাসিক ওরমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মহা সনদ বা ম্যাগনা কার্টা বলা হয়।।
  • কোম্পানি সম্রাট ফররুখশিয়ারের নিকট থেকে সুযোগ-সুবিধার ফরমান লাভ করলেও মুর্শিদ কুলী খান সেই ফরমান কার্যকর করতে অস্বীকৃতি জানান।
  • তাঁর পরবর্তী সুবেদার সুজাউদ্দীন খান ১৭২৭-১৭৩৯ সালে ও আলীবর্দী খানের ১৭৪০-১৭৫৬ সাল পর্যন্তও অনুরূপ নীতি অনুসৃত হয়।
  • দিল্লির সম্রাট শাহ আলমের সঙ্গে ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে এলাহাবাদে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং এই চুক্তির ফলে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মোগল বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন।
  • ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়ামক আইন Regulating Act পাস হয়।

ফরাসি

  • উপমহাদেশে সর্বশেষ আগত ইউরোপীয় বণিক কোম্পানি হচ্ছে “ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া” কোম্পানি। ১৬৬৪ সালে কোম্পানি গঠিত হয়।
  • ১৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি সর্বপ্রথম সুরাট এবং পরের বছর মুসলিমপট্টমে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করেন।
  • ১৬৭৩ সালে মাদ্রাজের পন্ডিচেরীতে তারা ঘাটি স্থাপন করে।
  • বাংলায় তারা চন্দননগরে কুঠি স্থাপন করে। বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খান ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত চন্দননগর নামক স্থানটি বিক্রি করেন।
  • ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় বাণিজ্য করার অধিকার লাভ ১৬৯৩ সালে।
  • ১৭৫৬ সালে চতুর্থ কর্ণাটকের যুদ্ধে ফরাসিদের পরাজিত করে ইংরেজরা একক প্রভাব বিস্তার করে।
  • ১৭৬০ সালে ‘বন্দীবাসের যুদ্ধে’ ইংরেজ সেনাপতি আয়ারকুটের কাছে ফরাসি গভর্নর কাউন্ট লালী পরাজিত হলে ফরাসীদের ভারতবর্ষে সাম্রাজ্য বিস্তারের স্বপ্ন ভেস্তে যায়। এর ফলে ভারতবর্ষে ফরাসিরা সাম্রাজ্য স্থাপনের চিন্তা পরিত্যাগ করে উপমহাদেশ ত্যাগ করে।